প্লে-স্টোরে থাকা ভুয়া অ্যাপ চেনা যায় যেভাবে

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : কিছুদিন পর পর গুগল প্লে স্টোর থেকে ভুয়া অ্যাপ সরিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি বিপজ্জনক ১৫ লাখ অ্যাপ সরিয়ে নিয়েছে গুগল। আসল অ্যাপের রূপে ঘাপটি মেরে থাকে অনেক নকল ও বিপজ্জনক অ্যাপ। যা ব্যবহারকারীদের ফোনের তথ্য চুরি করে। এসব তথ্য ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করে আবার কখনো সরাসরি ব্যবহারকারীকে ব্ল্যাকমেইল করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

 

তবে প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কীভাবে বুঝবেন অ্যাপ আসল নাকি নকল। কোনো জনপ্রিয় অ্যাপের নাম দিয়ে প্লে স্টোরে সার্চ করলে চলে আসে একাধিক অ্যাপ। যেগুলোর নামও হয় প্রায় একই রকমের। এর মধ্যে অনেক থার্ড পার্টি ফেক অ্যাপও লুকিয়ে থাকে। ফোনে ডাউনলোড করার সময়ে ফেক থার্ড পার্টি অ্যাপ ও অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার বোঝার সহজ কিছু উপায় আছে।

নামের দিকে নজর দিন

প্রথমেই যে অ্যাপ ডাউনলোড করতে চান তার ডেভেলপারের নাম দেখে নিতে হবে। অনেক সময়ে কোনো অ্যাপ সার্চ করার ক্ষেত্রে একই নামে একাধিক অ্যাপ দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে কোনো অ্যাপের নাম ও ডেসক্রিপশনও দেখে নেওয়া প্রয়োজন। গুগল প্লে স্টোর অথবা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে যে কোনো অ্যাপ ডাউনলোডের আগে তার রিভিউ, রেটিং ও ডাউনলোড কাউন্ট মিলিয়ে নিলে একটা সম্ভাব্য ধারণা পাওয়া যাবে।

 

পাবলিশের তারিখ

অ্যাপ কবে পাবলিশ হয়েছে তাও জেনে নেওয়া প্রয়োজন। অ্যাপ ডাউনলোডের আগে দেখে নিন স্ক্রিনশটগুলো। সেখানে সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লে অ্যাপ থেকে দূরে থাকুন। এছাড়া যে কোনো অ্যাপ আপনার ফোনে কী কী পারমিশন চাইছে, তা দেখেও আপনি ভুয়ো অ্যাপ চিনতে পারবেন। কোনো অ্যাপ আপনার ফোনে অপ্রয়োজনীয় ক্যামেরা, অডিয়ো, লোকেশন, ফোন কল বা অন্য যে কোনো পারমিশন চাইলে তা ভুয়া অ্যাপ হতে পারে। কারণ সেগুলো দিয়ে সাইবার প্রতারণার সম্ভবনা থাকে।

 

গুগল প্লে প্রোটেক্টর

গুগল প্লে প্রোটেক্টের সাহায্যে অ্যাপ এবং ডিভাইসকে ম্যালওয়ারের হুমকি থেকে রক্ষা করতে পারেন। প্লে স্টোর অ্যাপে প্রোফাইল আইকনে যান, প্লে প্রোটেক্টে ট্যাপ করুন, সেটিংসে প্লে প্রোটেক্ট দিয়ে স্ক্যান অ্যাপ চালু করুন। আপনার ডিভাইসটি ভেরিফাই সার্টিফাইড করতে পারেন। এজন্য গুগল প্লে স্টোর অ্যাপ খুলুন। উপরের ডানদিকে প্রোফাইল আইকনে গিয়ে সেটিংসে যান, আপনার ডিভাইসটি প্লে প্রোটেক্ট সার্টিফাইড কি না পরীক্ষা করুন। ডাউনলোড করার আগে অ্যাপের বিবরণ পড়ুন। কোনো অ্যাপে বানান বা ব্যাকরণগত ভুল খুঁজে পেলে, তা ভুয়া অ্যাপ হতে পারে। অরিজিনাল অ্যাপে এমন ভুল সাধারণত থাকে না।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জামায়াত আমিরের সঙ্গে পাকিস্তান হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

» নতুন সরকারের মন্ত্রীদের জন্য কোনো গাড়ি কেনা হচ্ছে না: অর্থ উপদেষ্টা

» বাড়ল স্বর্ণের দাম

» মন্ত্রীদের জন্য ৬০টি গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিল

» বিদ্যুৎকেন্দ্রে যান্ত্রিক গোলযোগ, দেশব্যাপী লোডশেডিং

» বুধবার ঢাবির সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ

» আপত্তিকর ছবি ভাইরাল, আদালতে ঐশ্বরিয়া

» ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

» মধুর ক্যান্টিনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল প্যানেল

» কর্মীদের সুরক্ষায় গার্ডিয়ানের সাথে ব্যাংক এশিয়ার পার্টনারশিপ

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

প্লে-স্টোরে থাকা ভুয়া অ্যাপ চেনা যায় যেভাবে

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : কিছুদিন পর পর গুগল প্লে স্টোর থেকে ভুয়া অ্যাপ সরিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি বিপজ্জনক ১৫ লাখ অ্যাপ সরিয়ে নিয়েছে গুগল। আসল অ্যাপের রূপে ঘাপটি মেরে থাকে অনেক নকল ও বিপজ্জনক অ্যাপ। যা ব্যবহারকারীদের ফোনের তথ্য চুরি করে। এসব তথ্য ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করে আবার কখনো সরাসরি ব্যবহারকারীকে ব্ল্যাকমেইল করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

 

তবে প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কীভাবে বুঝবেন অ্যাপ আসল নাকি নকল। কোনো জনপ্রিয় অ্যাপের নাম দিয়ে প্লে স্টোরে সার্চ করলে চলে আসে একাধিক অ্যাপ। যেগুলোর নামও হয় প্রায় একই রকমের। এর মধ্যে অনেক থার্ড পার্টি ফেক অ্যাপও লুকিয়ে থাকে। ফোনে ডাউনলোড করার সময়ে ফেক থার্ড পার্টি অ্যাপ ও অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার বোঝার সহজ কিছু উপায় আছে।

নামের দিকে নজর দিন

প্রথমেই যে অ্যাপ ডাউনলোড করতে চান তার ডেভেলপারের নাম দেখে নিতে হবে। অনেক সময়ে কোনো অ্যাপ সার্চ করার ক্ষেত্রে একই নামে একাধিক অ্যাপ দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে কোনো অ্যাপের নাম ও ডেসক্রিপশনও দেখে নেওয়া প্রয়োজন। গুগল প্লে স্টোর অথবা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে যে কোনো অ্যাপ ডাউনলোডের আগে তার রিভিউ, রেটিং ও ডাউনলোড কাউন্ট মিলিয়ে নিলে একটা সম্ভাব্য ধারণা পাওয়া যাবে।

 

পাবলিশের তারিখ

অ্যাপ কবে পাবলিশ হয়েছে তাও জেনে নেওয়া প্রয়োজন। অ্যাপ ডাউনলোডের আগে দেখে নিন স্ক্রিনশটগুলো। সেখানে সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লে অ্যাপ থেকে দূরে থাকুন। এছাড়া যে কোনো অ্যাপ আপনার ফোনে কী কী পারমিশন চাইছে, তা দেখেও আপনি ভুয়ো অ্যাপ চিনতে পারবেন। কোনো অ্যাপ আপনার ফোনে অপ্রয়োজনীয় ক্যামেরা, অডিয়ো, লোকেশন, ফোন কল বা অন্য যে কোনো পারমিশন চাইলে তা ভুয়া অ্যাপ হতে পারে। কারণ সেগুলো দিয়ে সাইবার প্রতারণার সম্ভবনা থাকে।

 

গুগল প্লে প্রোটেক্টর

গুগল প্লে প্রোটেক্টের সাহায্যে অ্যাপ এবং ডিভাইসকে ম্যালওয়ারের হুমকি থেকে রক্ষা করতে পারেন। প্লে স্টোর অ্যাপে প্রোফাইল আইকনে যান, প্লে প্রোটেক্টে ট্যাপ করুন, সেটিংসে প্লে প্রোটেক্ট দিয়ে স্ক্যান অ্যাপ চালু করুন। আপনার ডিভাইসটি ভেরিফাই সার্টিফাইড করতে পারেন। এজন্য গুগল প্লে স্টোর অ্যাপ খুলুন। উপরের ডানদিকে প্রোফাইল আইকনে গিয়ে সেটিংসে যান, আপনার ডিভাইসটি প্লে প্রোটেক্ট সার্টিফাইড কি না পরীক্ষা করুন। ডাউনলোড করার আগে অ্যাপের বিবরণ পড়ুন। কোনো অ্যাপে বানান বা ব্যাকরণগত ভুল খুঁজে পেলে, তা ভুয়া অ্যাপ হতে পারে। অরিজিনাল অ্যাপে এমন ভুল সাধারণত থাকে না।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com